Wednesday 16 November 2016

Acrostichum aureum (হুদো)

হুদোর ইংরেজি নাম Mangrove Fern, Golden Leather Fern বা Swamp Fern। তবে সবথেকে পরিচিত ইংরেজি নাম Tiger Fern, কেননা হুদোবনের ভেতরে বাঘ লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। সুন্দরবনের ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হয় না। এর বৈজ্ঞানিক নাম Acrostichum aureum (অ্যাক্রোস্টিকাম উরিয়াম) যার অর্থ সারিবদ্ধ গুঁটিবিশিষ্ট সোনালি পাতার গাছ। চকচকে সোনালি রঙের প্রায় ছয় ফুট লম্বা পাতাগুলোই হয়ে উঠেছে হুদোর মূল পরিচয়।
এটি একটি দানবীয় আকারের ফার্ন যা উপকূলবর্তী অঞ্চলে বিশষত লবণাক্ত এলাকায় জন্মায়। এক একটা হুদোগাছ ৪ মিটার বা (১৩ ফুট) পর‌্যন্ত লম্বা হয়। এটি একটি গৌণবাদা (Minor Mangrove) অর্থাৎ এটা সাধারণত বাদা অঞ্চলে জন্মায় তবে বাদাবনের পার্শ্ববর্তী বা উপকূলীয় অঞ্চলে জন্মাতে পারে। কারো কারো মতে এটি বাদা সহযোগী (Mangrove Associate) গাছ। বনজীবীরা হুদোর কচি পাতা শাক হিশেবে ব্যবহার করেন। গরু-ছাগল ও হরিণও এর পাতা পছন্দ করে। শরীরের পোড়া বা ছড়ে যাওয়া স্থানে হুদোর গুঁটি বেটে লাগালে উপশম হয়। এর পাতার রস রক্ত বন্ধ করতে সাহায্য করে।

বিবরণ (Description of the Species)

হুদো একটি ফার্নজাতীয় বাদাগাছ। কোনো কোনো উদ্ভিদবিদ একে গুল্মের শ্রেণিভূক্তও করেন। এটি চিরসবুজ ও দ্রুতবর্ধনশীল ফার্ন যা ৪ মিটার পর‌্যন্ত লম্বা হয়। উদ্ভিদের কাণ্ড গ্রন্থিকন্দযুক্ত, খাড়া ও দৃঢ়। কাণ্ডটি নিচের দিকে ব্যাস ৪ সেমি ও ওপরের দিকে ক্রমশ সরু। পক্ষযুক্ত পাতা হয় যা পত্রদণ্ডসহ ৩-৪ মিটার পর‌্যন্ত লম্বা হয়। সবুজ রঙের পাতাগুলো চওড়া, চকচকে। নারকেল পাতার মতো পাতার মধ্যশিরার দু’পাশে পত্রপল্লব আছে। সবচাইতে উপরের পাতাটি বৃন্তহীন হয়। উদ্ভিদবিদ্যায় ফার্নের পাতাগুলোকে বলা হয় পত্রক বা ফ্রন্ড (frond) [1].
হুদো অত্যন্ত আগ্রাসী প্রজাতি এবং অন্য প্রজাতির জন্য ক্ষতিকর। তবু বাদাবনে এই ফার্নগুলোর প্রয়োজনীয়তা বহু। প্রথমত এরা ঝড়ঝঞ্ঝা ও ঢেউয়ের কবল থেকে বাদাবনের অন্যান্য প্রজাতিগুলো রক্ষা করে। নদীর পাড়ে পলি ধরে ভাঙন ঠেকিয়ে দেয় ও বাদাবনের এলাকা বাড়ায়। হুদোবন এগিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যায় অন্যান্য গাছও। নদীতে স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা অন্যান্য বাদা প্রজাতির গাছপালার বীজ আটকে যায় হুদোবনের সঙ্গে, আর সেখানেই অঙ্কুরিত হয় নতুন আরেকটি গাছ। এছাড়া বাঘের আবাসনের জন্য হুদোর কোনো বিকল্প নেই।
হুদোর বংশবিস্তারের পদ্ধতিটি অন্য সাধারণ গাছের মতো নয়, বরং একটু জটিল। এদের কোনো বীজ বা ফল হয় না। পত্রফলকগুলোর পঞ্চম থেকে অষ্টম উপফলকের নীচে সারিবদ্ধভাবে সোরাস (sorus) বা গুঁটি তৈরি করে যা আসলে থলের মতো। এই থলের মধ্যে দলবদ্ধ রেণু থাকে। থলেটি রেণুগুলোর একটি আবরণের কাজ করে[2]। নির্দিষ্ট সময় পর হুদোর পাতা মরে স্যাঁতসেঁতে মাটির উপর পড়লে থলে ফেটে রেণুগুলো মাটির সংস্পর্শে আসে। রেণুগুলো অঙ্কুরিত হয়ে একটি উদ্ভিদের লিঙ্গধর রূপ (Prothallus) তৈরি করে। গাছের ছাল, বাকল বা শক্ত কিছুর সাথে আটকে থাকার জন্য এই প্রোথেলাসগুলোর এককোষী রোম থাকে। প্রোথেলাসগুলো স্বাবলম্বী এবং সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে। প্রোথেলাসের পুরুষ ও স্ত্রী জননাঙ্গ থাকে। জননাঙ্গের কোষের মিলনের ফলে রেণু থেকে উদ্ভিদ জন্মায়[3]
প্রজাতির নাম (Name of the Species): Acrostichum aureum
বর্গ (Order): Polypodiales
পরিবার (Family): Pteridaceae
গণ (Genus): Acrostichum
প্রজাতি (Species): A. aureum
দ্বিপদী নাম (Binominal Name): Acrostichum aureum L.
সমনাম (Synonyms): Acrostichum guineense Gaudich., Acrostichum inaequale Willd., Chrysodium aureum (L.) Mett., Chrysodium inaequale (Willd.) Fée
উদ্ভিদের ধরন (Type of Plant): ফার্ন
বসতি (Habitat): উপকূলীয় বাদাবন, নদীর পাড় ও কর্দমাক্ত জলাভূমি
বাদাগাছের ধরন (Type of Mangrove): বাদা সহযোগী
পাতার ধরন (Type of Leaves): যৌগিক ও একান্তর পাতা
ফুলের ধরন (Type of Flower): কোনো ফুল ও ফল নেই
সংরক্ষণ পরিস্থিতি (Conservation Status): সঙ্কটাপন্ন নয় 

আবাসস্থল (Description of Habitat)

মোহনার কাছাকাছি এলাকা থেকে শুরু করে জোয়ারভাটা প্রভাবিত উঁচু এলাকাতেও হুদো জন্মাতে পারে। পরিবেশের ক্ষেত্রে হুদো সর্বভূক প্রাণীর মতো। নোনামাটিতে যেমন জন্মায় তেমনি জন্মাতে পারে স্বাদুপানির এলাকায়ও[4]। বর্ধনশীল লবণাক্ততার বাদাবনে, নোনা জলাভূমিতে ও নদীর পাড়ে এটি জন্মাতে পারে। তবে স্বাদুপানিতেই হুদোর স্পোরগুলোর ভালো পরিস্ফূটন হয়। তাইতো অন্য কোনো বাদাগাছ ইউরোপে না জন্মালেও হুদো পাওয়া যায় ফ্রান্সেও। হুদোর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, পূর্ণ সূর‌্যালোকে যেমন টিকে থাকতে পারে, তেমনি পুরোপুরি ছায়া জায়গায়ও তেমন কোনো অসুবিধা হয় না।
জলাভূমিতে হুদোগাছ লম্বায় ১৩ ফুট পর‌্যন্ত হয় তবে একটু হেলে থাকে। প্লাবনপ্রবণ এলাকার এরা একটু খাড়া হয়ে থাকে। বাদা এলাকায় জন্মানো অন্যান্য উদ্ভিদের মতো হুদোও ভীষণ কষ্ট সহ্য করে সবথেকে নাজুক পরিবেশেও শুধু টিকে থাকতে পারে তাই-ই না, বরং দ্রুত চার হাত পা ছড়িয়ে বাচ্চাকাচ্চা জন্ম দিয়ে নতুন নতুন এলাকাও দখল নিতে পারে। এজন্য একে সুযোগসন্ধানী ও আগ্রাসী বললেও রাগ করার কথা না।
গর্জন (Rhizophora mucronata) হলো অনেকটা হুদোর পৃষ্ঠপোষকের মতো। গর্জন পানি শোষণ করে যে জায়গা বালুময় করে তোলে সেখানে হুদো খুব ভালো জন্মাতে পারে[5]। সাধারণত গেওয়া (Excoecaria agallocha), হেতাল (Phoenix paludosa), ঝামটি গরান (Ceriops decandra) ও মথ গরান (Ceriops tagal)-এর সাথে বসতি ভাগাভাগি করে হুদো জন্মাতে পারে[6]। 

পরিব্যাপ্তি (Distribution)

হুদো প্রধানত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায়[7]। বাংলাদেশ ছাড়াও অ্যাংগোলা, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, অস্ট্রেলিয়া, বাহামা দ্বীপপুঞ্জ, বার্বাডোজ, বেলিজ, বেনিন, ব্রাজিল, ব্রুনেই, ক্যামেরুন, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, কলাম্বিয়া, কমরোস, কংগো, গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, কোস্টারিকা, আইভরি কোস্ট, কিউবা, ডোমিনিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, ইক্যুয়েটোরিয়াল গিনি, ফ্রান্স, গ্যাবন, গাম্বিয়া, ঘানা, গ্রেনাডা, গুয়াতেমালা, গিনি, গিনি বিসাউ, গায়ানা, হাইতি, হন্ডুরাস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মার্টিনিক, মায়োতি, মেক্সিকো, মন্টসেরাট, মোজাম্বিক, মায়ানমার, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, পালাউ, পানামা, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন, পুয়ের্তেরিকো, সেন্ট কিটস্ অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইন, সাও তোমে, সেনেগাল, সিসিলেস, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, টোগো, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ফ্লোরিডা), ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, ভিয়েতনাম ও ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে হুদো পাওয়া যায়[8]
হুদোর আরো দুটো প্রজাতি আছে যারা বাদা-প্রভাবিত এলাকায় জন্মায়। এদের একটি Acrostichum danaeifolium ও অপরটি Acrostichum speciosum। এ দুটোর একটিও বাংলাদেশে জন্মায় না। তবে ভূতপূর্ব Acrostichum পরিবারের আরো দশজন সদস্যকে বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এরা হলো : Acrostichum axillare (গৃহীত নাম : Leptochilus axillare, স্থানীয় নাম জানা নেই), Acrostichum calomelanos (গৃহীত নাম : Pityrogramma calomelanos, সোনালি ঢেকিয়া, রূপালি ঢেকিয়া), Acrostichum crispatulam (গৃহীত নাম : Bolbitis crispatula, ঢেকিয়া বা অচিন ঢেকিয়া), Acrostichum dichotomum (গৃহীত নাম : Schizaea digitata, স্থানীয় নাম জানা নেই), Acrostichum heteroclitum (গৃহীত নাম : Bolbitis heteroclitum, ঢেকিয়া বা অচিন ঢেকিয়া), Acrostichum lanceolatum (গৃহীত নাম : Pyrrosia lanceolatum, স্থানীয় নাম জানা নেই), Acrostichum punctatum (গৃহীত নাম : Microsorum punctatum, গুছাপত্র), Acrostichum sinensis (গৃহীত নাম : Bolbitis sinensis, ঢেকিয়া বা অচিন ঢেকিয়া), Acrostichum thalictroides (গৃহীত নাম : Ceratopteris thalictroides, পানি ঢেকিয়া) ও Acrostichum virens (গৃহীত নাম : Bolbitis virens, ঢেকিয়া বা অচিন ঢেকিয়া)। তবে এ ফার্নগুলোর একটিও বাদাবন বা বাদা পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। 

বৈজ্ঞানিক নাম ও সমনাম (Scientific Name and Synonyms)

Acrostichum কথাটি এসেছে গ্রীক শব্দ akrostichis থেকে যার অর্থ হলো সুবিন্যস্ত ও সারিবদ্ধভাবে সাজানো। পত্রফলকের নিচে সারিবদ্ধভাবে সাজানো স্পোর বা গুঁটিগুলোর জন্যই এমন নাম। অনেক সময়ই পরিবারের নাম দেয়া হয় কোনো ব্যক্তি বা স্থানের প্রতি সম্মান জানিয়ে। Acrostichum পরিবারের নাম যথার্থই হয়েছে বলতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে অপ্রাসঙ্গিক তথ্য হলো, যেসব কবিতার প্রত্যেক পংক্তির প্রথম বা শেষ হরফ মিলিয়ে কোনো নাম বা অন্য শব্দ-বাক্য তৈরি হয় তাকে Acrostic কবিতা বলে। Aureum শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Aureus-এর উভলিঙ্গ যার অর্থ ‘সোনালি’। এই সূত্রমতে Acrostichum aureum অর্থ দাঁড়ায় সারিবদ্ধ গুঁটিবিশিষ্ট সোনালি পাতার গাছ।
Acrostichum Aureum প্রথম চিহ্নিত করেন সুইডেনের উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও দার্শনিক কার্ল ভন লিনে বা কার্ল লিনিয়াস (Carl Linnaeus)। এ কারণেই হুদোর বৈজ্ঞানিক নামের পর ‘এল’ (L.) লেখা রয়েছে। তাহলে হুদো’র পুরো নাম হবে Acrostichum Aureum L. 1758 অথবা Acrostichum aureum Linnaeus, 1758।

স্থানীয় নাম (Local Names)

হুদো অস্ট্রেলিয়ায় Mangrove Fern নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হুদো (Hudo) এবং ইংরেজিতে Golden Leather Fern, Leather Fern বা Swamp Fern বলা হয়[9]। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় হাতা দিউক (Hata Diuk), কালা কেওক (Kala Keok) বা ক্রাকাস (Krakas); ফিলিপাইনে পালাপায় (Palaypay) বা লাগোলো (Lagolo); মালয়েশিয়ায় লাউট (Laut) বা পিয়াই রায়া (Piai Raya); সিঙ্গাপুরে পাকু লাউট (Paku Laut); শ্রীলংকায় কারামকোকু (Karamkoku)[10]; উড়িয়াতে খড়খড়ি (Kharkhari) এবং ভিয়েতনামে ব্রোং (Brong) নামে পরিচিত।

সংরক্ষণ পরিস্থিতি (Status of Conservation)

আইইউসিএন বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় (IUCN Red List) হুদো ‘আশঙ্কামুক্ত’ (Least Concern) হিশেবে চিহ্নিত। এই প্রজাতিটি কোনো প্রকার হুমকির মুখে নয় বলে আইইউসিএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাদাবনের আয়তন কমে যাওয়া এ প্রজাতির জন্য একটি হুমকি। পৃথিবীজুড়ে হুদো প্রজাতিটি রক্ষায় কোনো প্রকার উদ্যোগের কথা জানা যায় নি[13]

অধিকতর পাঠ (See Also)

  1. Acrostichum danaeifolium
  2. Acrostichum speciosum
  3. Carl Linnaeus
  4. উচ্চ লবণাক্ততা (Hyper Salinity)
  5. উদ্ভিদবিজ্ঞানী

সংশ্লিষ্ট উপকরণ (External Links)

  1. Customary Use of Mangrove Tree as a Folk Medicine among the Sundarbans Resource Collectors
  2. Global Forest Resources Assessment 2010: Country Reports - Bangladesh
  3. Medicinal and Aromatic Plants as Global Resources
  4. The Undergrowth Species of Sundarban Mangrove Ecosystem (Bangladesh)
  5. World Atlas of Mangroves 2014

প্রদায়ক (Contributor)

হাসান মেহেদী

তথ্যসূত্র (References)

[1] NUS (2015). Guide to the mangroves of Singapore: Piai raya (Acrostichum aureum).Mangroves of Singapore (Vol I-II). National University of Singapore. Retrieved from http://mangrove.nus.edu.sg/guideboo... on 6 November 2016
[2] পাল, নিশীথ কুমার (২০১৫). উদ্ভিদবিজ্ঞান শব্দকোষ. অন্বেষা প্রকাশন. ঢাকা : ফেব্রুয়ারি ২০১৫
[3] Mirza, M. M. (2009). Acrostichum aureum. In Ahmed, Z.U., Begum, Z.N.T, Hassan, M.A., Khondker, M., Kabir, S.M.H., Ahmed, M., and Ahmed, A.T.A (eds). Encyclopedia of Flora and Fauna of Bangladesh, Vol. 5. Broyophytes, Pteridophytes and Gymnosperm. Asiatic Society of Bangladesh, Dhaka. p 283: September 2009
[4] IUCN (2010). IUCN Red List: Acrostichum aureum. Ellison, J., Koedam, N.E., Wang, Y., Primavera, J., Jin Eong, O., Wan-Hong Yong, J. & Ngoc Nam, V. (eds.). International Union for Conservation. Retrieved from http://www.iucnredlist.org/details/... on 5 November 2016
[5] Hill, K. (2006). "Acrostichum aureum: Golden leather fern". Smithsonian Marine Station at Fort Pierce. Retrieved from http://www.sms.si.edu/irlspec/acros... on 5 November 2016
[6] Mahmood, H. (2015). Handbook on selected plant and species of the Sundarbans and the embankment ecosystem. Sustainable Development and Biodiversity Conservation in Coastal Protection Forests, Bangladesh (SDBC-Sundarbans) Project implemented by the Deutsche Gesellschaft fur Internationale Zusammenarbeit (GIZ) GmBH on behalf of the German Federal Ministry for Economic Cooperation and Development (BMZ). Dhaka: September 2015
[7] Wikipedia (2016). Acrostichum aureum. Retrieved from https://en.wikipedia.org/wiki/Acros... on 5 November 2016
[8] IUCN (2010). ibid
[9]http://eol.org/pages/597691/names
[10]http://www.instituteofayurveda.org/...
[11] Singapore Government (2016). Acrostichum aureum. National Parks Flora and Fauna Web. Retrieved from https://florafaunaweb.nparks.gov.sg/... on 6 November 2016
[12] Stuart Exchange (2016). Lagolo (Acrostichum aureum). Retrieved from http://www.stuartxchange.org/Lagolo... accessed on 6 November 2016
[13]http://www.iucnredlist.org/details/...